এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্ট | MRP to ePassport

এম আর পি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্ট | MRP to ePassport Reissue Step by Step

যাদের পূর্বে এমআরপি পাসপোর্ট আছে, তারা সহজ ৫ টি ধাপ অনুসরণ করে এম আর পি পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্ট করতে পারবেন। ePassport এর জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনেও প্রয়োজন হবে না। এই ধাপ গুলো যদি কেউ MRP পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্ট রি ইস্যু করার সময় অনুসরণ করে তবে কোন দালাল ধরা লাগবে না, কারো কাছে সাহায্যের জন্য যাওয়া লাগবে না। নিজের পাসপোর্ট নিজেই করতে পারবেন
এম আর পি পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্ট - mrp to e passport reissue
চিত্রঃ এম আর পি পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্ট a to z বিস্তারিত

গুরুত্বপূর্ন ৫ টি ধাপ হলঃ 💢 ১- আপনার এলাকার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ই পাসপোর্ট চালু হয়েছে কি না নিশ্চিত হওয়া। 💢 ২- অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করেন। 💢 ৩- ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করেন। 💢 ৪- প্রয়োজনীয়  কাগজ পত্র নিয়ে ছবি এবং ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য অফিসে যাওয়া। 💢 ৫- আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ই পাসপোর্ট সংগ্রহ।

এক নজরে দেখেনিন এই আর্টিকেলে যা থাকছেঃ


💢 PK ১ম ধাপঃ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের তালিকা

ই পাসপোর্ট চালু হয়েছে এমন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের তালিকা থেকে দেখে নিন আপনার এলাকার অফিসে ই পাসপোর্ট ইস্যু শুরু হয়েছে কি না। যদি আপনি আগেই নিশ্চিত হয়ে থাকেন তবে ২য় ধাপ অনুসরণ করুন। 


💢 PK২য় ধাপঃ অলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন পদ্ধিতি

অলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার নির্ভুল এমআরপি পাসপোর্ট এবং NID কার্ড টি অথবা ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন কার্ড কাছে রাখুন। নিচে ছবিতে দেওয়া এম আর পি পাসপোর্ট অনুসারে ই পাসপোর্ট এর আবেদন করে দেখানো হচ্ছে। আপনারও আপনাদের পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসারে ধাপে ধাপে ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম টি পূরণ করুন।


⇒ প্রথমে বাংলাদেশ সরকারের ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন পোর্টালের লিংক https://www.epassport.gov.bd/landing

প্রবেশ করুন।

e passport online form
চিত্রঃ MRP থেকে ই পাসপোর্ট আবেদনের ২য় ধাপ


প্রবেশ এর পরে ছবিতে লাল বক্সে দেখানো “সরাসরি অনলাইন আবেদন” এর সাথে ক্লিক করুন।

এবার আপনার জেলা এবং থানা / উপজেলা দিয়ে নিচের Continue বাটনে ক্লিক করলে পরের পেজে নিয়ে যাবে।
mrp to e passport reissue
চিত্রঃ ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন


Entre Your Email address:
পরের পেজে আপনার নিজের একটি Email দিন। এই ইমেইল এর মাধ্যমে একাউন্ট করা হচ্ছে তাই ইমেইল টি আপনার ব্যাক্তিগত হলে ভাল হয়। Email দেওয়ার পরে হিউম্যান ভারিফিকেশন এর বক্সে ক্লিক করেন এবং ওখানে দেওয়া নির্দেশনা অনুসারে ভেরিফিকেশন কমপ্লিট করে Continue বাটনে চাপ দিন।
e passport online application
চিত্রঃ একটি ইমেইল দিতে হবে

⇒ Continue বাটনে চাপ দেওয়ার পরে ধাপে নতুন ঘর আসবে সেখানে আপনার দেওয়া ইমেইল টি দেখা যাবে এবং নিচে পাসওয়ার্ড দেওয়ার জায়গা দেবে। পাসওয়ার্ড এ সর্ব নিম্ন ৬ টা ক্যারেকটার হতে হবে। পাসওয়ার্ড তৈরি করার সময় ছোট হাতের অক্ষর, বড় হাতের অক্ষর, সংখ্যা, এবং একটি চিহ্ন দিবেন। অবশ্যই পাসওয়ার্ড টি কোথাও লিখে রাখবেন অথবা মনে রাখবেন। পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক এবং পরের ধাপে একাউন্ট লগ ইন করার সময়  ID & Pass প্রয়োজন হবে।

e passport application Personal Information
চিত্রঃ ই পাসপোর্ট আবেদন
Personal Information

Full Name: এর ঘরে আপনার নামের সম্পূর্ন অংশ দিবেন ( যেমনঃ MD ZAKIR HOSSAIN ) যদি নামের আগে MD থাকে এবং তার পরে ডট . থাকে তবে ডট বাদ দিবেন। ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার এমন কোন পদবী ব্যাবহার করা যাবে না।


Given Name (optional): এখানে নামের প্রথম অংশ দিবেন। ( যেমনঃ MD ZAKIR ) যদি কারো নামে ৩/৪ টি অংশ থাকে

( যেমনঃ MD ZAKIR HOSSAIN ) তবে প্রথম ২ টি অংশ যাবে গিভেন নেম এ।


Surname: এখানে আপনার বংশগত নাম বা নামের টাইটেল বা নামের শেষ অংশ যাবে ( যেমনঃ HOSSAIN ) 


Contact Information: এই স্থানে আপনার ফোন নাম্বার দিবেন। আপনার ব্যাক্তিগত নাম্বার ব্যাবহার করেন যাতে সহজেই আপনার সাথে অফিস চাইলে যোগাযোগ করতে পারে।


বিঃদ্রঃ কিছু লোকের একটি মাত্র অংশ থাকে নামে ( যেমনঃ RIPON ) এমন হলে গিভেন নেম বাদে ফুল নেম এবং সারনেম পূরণ করতে হবে।


এর নিচে থাকা হিউম্যান ভেরিফিকেশন কমপ্লিট করে Continue বাটনে চাপ দিন।

Active e Passport Account:
কন্টিনিউ করার পরে এমন দেখাবে। এর অর্থ আপনাকে একাউন্ট ভেরিফাই এর জন্য একটি ইমেইল পাঠানো হয়েছে। ইমেইল না পেলে নিচে থাকা Resend বাটনে চাপ দিলে ২য় বার ইমেইল পাঠাবে ভেরিফাই করে লগ ইন করার জন্য।
Active e Passport Account

ePassport Online Portal থেকে  Please activate your account নামে একটি ইমেইল দেবে। ইমেইল ইনবক্সে অথবা স্প্যাম বক্সে পাওয়া যাবে। ঐ ইমেইল টি তে থাকা লিংকে ক্লিক করে ওপেন করলে, ই পাসপোর্ট অনলাইন রেজিস্ট্রেশন পোর্টালে লগ ইন করতে বলবে। Email and Password দিয়ে ক্যপচা ভেরিফাই করে Sign in বাটনে চাপ দিয়ে লগ ইন করুন।


⇒ একাউন্টে লগ ইন করার পর ই পাসপোর্ট আবেদন নিচে ছবি তে দেওয়া এমন একটি বাটন দিবে। তাতে ক্লিক করুন।

Apply e passport

Passport Type:
পরের পেজে Passport Type নামে অপশন আসবে সেখানে আপনার পাসপোর্ট কি ধরনের হবে অর্থাৎ সাধারণ পাসপোর্ট না অফিসিয়াল পাসপোর্ট হবে তাতে টিক দিবেন। Official Passport শুধু সরকারি চাকুরী যারা করে তারা পেয়ে থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে NOC / GO থাকতে হবে। সরকারী চাকরী বাদে সবাই Ordinary Passport অপশনে টিক দিয়ে রাখবেন।
Passport Type, Official Passport, Ordinary Passport
তার পর Save and Continue বাটনে চাপ দিয়ে পরের পেজ এ যাবেন।

⇒ Personal Information:

এখানে I apply for Myself অপশনে টিক দিলে একাউন্ট করার পূর্বে আপনার দেওয়া সকল তথ্য অটো ফিলাপ হয়ে যাবে। একাউন্ট যার তার এপ্লাই বাদে অন্য কার পাসপোর্ট এপ্লিকেশন করা হলে ঐ টিক দিতে হবে না। টিক না দিয়ে নিচের অপশন গুলো নিজ হাতে পূরণ করে দিবেন।
e passport Personal Information
আপনার পেশা অনুসারে Select Profession এ থাকা লিস্ট থেকে আপনার পেশা সিলেক্ট করে দেবেন। যে পেশা নির্বাচন করবেন সে অনুসারে পেশা প্রমাণের কাগজ থাকতে হবে। বেকার হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান / কাউন্সিলর / পৌরমেয়র থেকে বেকার আছেন এমন সনদ, ছাত্র হলে কলেজ ID অথবা সর্ব শেষ যোগ্যাতার সার্টিফিকেট , প্রাইভেট সার্ভিস হলে তার প্রমাণ পত্র ইত্যাদি।
e passport phone number
Citizenship Information অপশনে আপনি কি ভাবে বাংলাদেশের নাগরিক সেটা এই অপশনে দিতে হয়। যারা জন্মগত ভাবে এ দেশের নাগরিক তারা BY BIRTH অপশন সিলেক্ট করবেন। যারা বিবাহ সূত্রে তার সেটা উল্লেখ করবেন।
Citizenship Information in e passport bd
সব শেষে Save and Continue ক্লিক করে পরের পেজে এগিয়ে যেতে হবে

⇒ Address : 

এড্রেসের প্রথম ঘর গুলো Permanent Address এর। যেখানে আপনার স্থায়ী ঠিকানা সেটা পূরণ করবেন ( আপনার NID কার্ড অথবা পূর্বের পাসপোর্টে যেভাবে দেওয়া আছে) City/ Village/ House এই ঘরে আপনি গ্রামের হলে গ্রামের নাম হবে, শহরের হলে বাড়ি নাম্বার দিবেন। 


তার নিচে রোড, ব্লক , সেক্টর যদি থাকে। গ্রামে হলে সাধারণত থাকে না।


Select Post Office অপশনে আপনার পোষ্ট অফিস লিখুন, লিস্টে থাকা পোষ্ট অফিসের নাম এবং কোড পূরণ হয়ে যাবে


Select Police Station: অপশনে আপনার স্থায়ী ঠিকানা যে থানার আন্ডারে সেটা সিলেক্ট করবেন।

Address  in e passport bd

Present Address: এড্রেস অপশনের মধ্যে থাকা পেজেন্ট এড্রেস বা বর্তমান ঠিকানা গুরুত্বপূর্ন 

আপনার স্থায়ী ঠিকান এবং বর্তমান ঠিকান যদি একই হয় তবে নিচে ছবিতে দেখানো বক্সে ক্লিক করে দিলেই হবে। আর যদি বর্তমান ঠিকান স্থায়ী ঠিকানা থেকে আলাদা হয় সে ক্ষেত্রে টিক না দিয়ে নিজ হাতে ঘর গুলো পূরণ করে দিবেন।




Present Address in e passport

Present Address

এড্রেস অপশন কমপ্লিট হয়ে গেলে সেভ এন্ড কন্টিনিউ তে চাপ দিবেন ।

⇒ ID Documents: এম আর পি পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্ট করতে হলে বা পাসপোর্ট রি ইস্যু করতে হলে ID Documents অপশন আসবে। এখানে পূর্বে থাকা MRP Passport এর তথ্য দিতে হবে। 


Yes, I have a Machine Readable Passport (MRP)  এই অপশনে ক্লিক দিবেন যদি আপনার কাছে MRP Passport থাকে। যদি Passport e অর্থাৎ ই পাসপোর্ট থাকে এবং তা কোন কারনে পূনরায় রি ইস্যু প্রয়োজন তবে Yes, I have an Electronic Passport (ePP) তে ক্লিক দিবেন।


Select reissue reason এর ড্রপ ডাউন মেনু থেকে কি কারনে পাসপোর্ট রি ইস্যু হচ্ছে তা সিলেক্ট করে দেন।


Passport reissue reason
Previous Passport Number  অপশনে আপনার পূর্বের এম আর পি পাসপোর্ট নাম্বার টি নির্ভুল ভাবে লিখুন। তার নিচে ঐ পাসপোর্টের ইস্যু ডেট এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার ডেট দিয়ে দিন।


NID number in e passport
সব শেষে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার সঠিক ভাবে লিখে নিচে থাকা Save and Continue বাটনে চাপ দিয়ে পরের পেজে চলে যান।

⇒ Parental Information: এখানে আপনার পিতা, মাতার তথ্য দিয়ে পূরণ করুন। বাবা মায়ের NID নাম্বার না দিলেও চলবে। আপনার নিজের NID / পূর্বের MRP পাসপোর্ট অনুসারে অনুসারে পিতা মাতার নাম লিখতে হবে।

e passport Parental Information
Parental Information in e passport
Guardian Information:  শুধু মাত্র অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং এতিম সন্তানের ক্ষেত্রে এই অপশনের তথ্য পূরন করতে হয়। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেরে যেমন আছে তেমনি রেখে দিতে হয়।
Guardian Information in e passport bd

বিঃদ্রঃ পিতা মাতা মৃত হলে পেশা Other দিবেন এবং মৃত মানুষের নামের আগে Late লিখবেন না।

Parental Information এর পেজে সকল তথ্য দেওয়া হলে Save and Continue বাটনে চাপ দিয়ে পরের পেজে যান


⇒ Spouse Information: বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্বামী / স্ত্রী এর তথ্য দিতে হয় এখানে। অবিবাহিত হলে সিঙ্গেল অপশন সিলেক্ট করবেন। ডিভসি হলে সেটা দিবেন, বিধবা হলে সেটা সিলেক্ট করবেন।
Spouse Information e passport


বিঃদ্রঃ স্বামী / স্ত্রী এর NID নাম্বার দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এটা আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।

সকল তথ্য দেওয়ার পরে Save and Continue তে ক্লিক করবেন

⇒ Emergency Contact: জরুরী প্রয়োজনে যার সাথে যোগাযোগ করা যায় এমন একজনের তথ্য এই অপশনে দিতে হয়। স্বামী / স্ত্রী , সন্তান, ভাই, বাবা, মা ইত্যাদি মানুষ এর তথ্য যেওয়া যায়।

e passport Emergency Contact
e passport status by SMS

ইমারজেন্সি কন্ট্রাক অপশনের নিচে Save and Continue বাটনের উপর বক্সে এ লাল চিহ্ন দেওয়া স্থানে টিক চিহ্ন দিয়ে রাখবেন যাতে আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা কি তা SMS এর মাধ্যমে আপনাকে জানিয়ে দেয় পাসপোর্ট অফিস। 


শেষে Save and Continue চেপে পরের অপশনে যেতে হবে।


⇒ Passport Option:  নামের এই অপশনে কত পৃষ্ঠার কত বছরের পাসপোর্ট নিতে চান সেটা সিলেক্ট করে দিতে হয়। পাসপোর্ট ফি কত সেটাও এখানে উল্লেখ থাকে।

Passport Option , Page and Year

Save and Continue


⇒ Delivery option and Appointment: এই অপশনে নির্দিষ্ট করে দিতে হয় আপনি পাসপোর্ট Regular Delivery না Express Delivery চান । তাছাড়া এই পেজে উল্লেখ থাকে আপনার পাসপোর্ট এর জন্য এপয়েনমেন্ট ডেট দিতে হবে কি না।


Delivery option and Appointment

Save and Continue


⇒ Delivery Options: এই পেজে এম আর পি থেকে ই পাসপোর্ট আবেদনের সকল তথ্য রিভিশনের জন্য দেখানো হয়। ফাইনাল সাবমিটের আগে তথ্যে কোন ভুল থাকলে তা এডিট করার মাধ্যমে সংশোধন করা যায়। 
Passport Delivery Options

Confirm and proceed to payment

Confirm and proceed to payment

ফাইনার রিভিশন দেওয়ার পরে Confirm and proceed to payment বাটনে চাপ দিলে পপ আপ এসে সর্ব শেষ কনফার্ম করতে বলে। এই কনফার্মেশনের পরে আর ই পাসপোর্ট এর তথ্য এডিট করা যাবে না।

⇒ Payment Option:   পেমেন্ট অপশনে অনলাইন এবং অফলাইন পেমেন্ট এর অপশন দেওয়া থাকে। যে যার সুবিধা মত পেমেন্ট পদ্ধতি বেছে ন্যায়। তবে আমি বলব অফলাইন পেমেট করতে। এতে ভুল যাওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। কারণ ব্যাংক থেকে ২য় বার চেক হয়।


Payment Option
Payment Option online and offline payment
অনেক সময় অনলাইন পেমেন্ট অপশন কাজ করে না। তাই অফলাইন পেমেন্ট অপশন সিলেক্ট করে নিচে থাকা Continue বাটনে ক্লিক দিতে হয়।

E-Passport Application Submitted

এপ্লিকেশন সাবমিট হয়ে গেছে এখন পেমেন্ট সামারি পেজ এবং অনলাইন এপলিকেশন পেজ টি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।


E-Passport Application Submitted


💢 PK ৩য় ধাপঃ ই পাসপোর্ট ফি পরিশোধ


ব্যাংকে পাসপোর্ট ফি প্রদান ( অফলাইনে)

NID কার্ড এবং পেমেন্ট সামারি পেজ প্রিন্ট কপি নিয়ে বাংলাদেশের যেকোন সরকারী এবং বেসরকারি ব্যাংক থেকে এ চালানের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া যায়। টাকা জমা দেওয়া হলে টাকা জমা রশিদ , পেমেন্ট সামারি, NID কার্ড নিয়ে চলে আসুন।  

অনলাইনে পাসপোর্ট ফি প্রদান ( এ চালান )

এ চালান ওয়েবসাইটে গিয়ে বাম পাশে থাকা পাসপোর্ট ফি অপশন সিলেক্ট করলে একটি পপ আপ ওপেন হবে, সেখানে মেনু থেকে পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠার সংখ্যা এবং কর দিন মেয়েদি কত দিনে পাসপোর্ট পেতে ইচ্ছুক তা নির্বাচন করে নিচে থাকা OK বাটনে চাপ দিতে হবে।


এ চালান  পাসপোর্ট ফি প্রদা্ন

শনাক্তকরণ নাম্বার অর্থাত পেমেন্ট স্লিপের OID নাম্বার, NID অনুসারে নাম, ফোন নাম্বার বাধ্যতামূলক দিতে হবে। তার পর অনলাইন ব্যাংকিং সিলেক্ট থাকা অবস্থায় নিচের সারিতে থাকা আপনার যে ব্যাংকের কার্ড আছে তাতে ক্লিক করে পরবর্তী  ধাপ অনুসরণ করলেই কাজ শেষ। টাকা জমা দেওয়ার পর জমা স্লিপ ডাউনলোড করে রাখবেন



 💢 PK ৪র্থ ধাপঃ ই পাসপোর্ট এর প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রঃ


ছবি তোলা এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর জন্য শিডিউল ডেট নেওয়া হলে সেই ডেটে যাবেন আর যদি আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে শিডিউল ডেট নেওয়া না লাগে তবে আপনার সুবিধা মত সময়ে যাবেন। নিচের কাগজ সমূহ নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। অফিসে জমা দেওয়ার সময় রিসিপশন থেকে একটি পাসপোর্ট রি ইস্যু ফরম দিবে সেটা নিজ হাতে পূরণ করে একই সাথে জমা দিবেন।

NID / Birth Certificate মূল কপি এবং ফটোকপি

পূর্বের MRP পাসপোর্ট মূল কপি এবং ফটোকপি

Payment Slip - ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া রশিদের মূল কপি

GO/NOC সরকারী চাকরিজীবী হলে। অন্যদের পেশা প্রমাণের ডকুমেন্টস ( কিছু অফিস এই ডকুমেন্ট চায় না, তবে সাথে করে নিয়ে যাওয়া উচিৎ) 

আবেদন পত্র, পেমেন্ট সামারির প্রিন্ট কপি

বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন হলে তা প্রমাণের ডকুমেন্টস



💢 PK ৫ম ধাপঃ  আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ই পাসপোর্ট সংগ্রহ


এম আর পি থেকে ই পাসপোর্ট রি ইস্য বা নতুন পাসপোর্ট আবেদন দিন বায়োএনরোলমেন্ট শেষে ডেলিভারি স্লিপ প্রদান করে প্রতিটি পাসপোর্ট অফিস। ঐ ডেলিভারি স্লিপের উপরে বাম পাশে উল্লেখ থাকে  সম্ভব্য পাসপোর্ট ডেলিভারি ডেট। ঐ ডেট এ গিয়ে পাসপোর্ট অফিস এর ডেলিভারি কাউন্টার থেকে আপনার ই পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।

এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্ট MRP to ePassport ভিডিও টিউটেরিয়াল

💢 সাধারণ প্রশ্নঃ 💢

ই পাসপোর্ট পেতে কতদিন সময় লাগে ? How many days to take e passport

অতীব জরুরী পাসপোর্ট ২ দিনে, জরুরী পাসপোর্ট ৭ দিনে এবং রেগুলার পাসপোর্ট ২১ কর্ম দিবসে পাওয়া যায়। 


ই পাসপোর্ট এর সুবিধা কি ? benefits of e-passport

ই পাসপোর্ট এ ব্যাক্তির তথ্য এলেক্ট্রনিক চিপ এর মধ্যে থাকে। আন্তর্জাতিক মানের ই পাসপোর্ট। এম আর পি পাসপোর্ট থেকে অনেক উন্নত। 


ই পাসপোর্ট ফি কত ? cost of e-passport in Bangladesh

ই পাসপোর্ট ফি আবেদন কৃত পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা, মেয়াদ, প্রাপ্তির সময়ের উপর নির্ভর করে। সর্ব নিম্ন ফি ৪,০২৫ টাকা থেকে শুরু করে ১৩,৮০০ টাকা পর্যন্ত। দেশের বাইরে ৩০ ডলার থেকে শুরু করে ২২৫ ডলার পর্যন্ত। 


NID ছাড়া ই পাসপোর্ট পাওয়া যায় ? Can  apply  e-passport without NID card

হ্যাঁ, তবে সে ক্ষত্রে বয়স ১৯ এর নিচে হতে হবে।


এম আর পি পাসপোর্ট এবং ই পাসপোর্ট একই ? difference between e-passport and mrp

না, একই না। MRP পাসপোর্ট হল মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এবং ই পাসপোর্ট হল ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট। ই পাসপোর্টের মধ্যে বিশেষ এক ধরনের চিপ থাকে যা কোন ব্যাক্তি সম্পর্কে যে তথ্য জানার দরকার সে সকল তথ্য জমা রাখে। 



MRP to e-passport reissue কি ভাবে করতে হয় তা বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হল। পাসপোর্ট পেয়ে E-Passport online application, E-passport fee, documents needed for e-passport, ePassport collection ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে ১০০% নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রদান করা হয়েছে। এই গুলো অনুসরণ করলে কোন ঘুষ ছাড়া নিজের পাসপোর্ট নিজেই করতে পারবেন।

এম আর পি থেকে ই পাসপোর্ট সম্পর্কিত আর্টিকেল টি আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। ভাল লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে ঐ বন্ধুকে নির্ভুল পাসপোর্ট পেতে সাহায্য করুন।

8 মন্তব্যসমূহ

  1. আমার NID তে বাবার নাম MD. MONIR HOSSAIN
    আমি ই পাসপোর্ট এর আবেদনে বাবার নামে (MD. এইভাবে দিয়ে ফেলেছি)
    আমার নিজের নামে ডট ব্যবহার করিনি। বাবার নামে ডট ব্যবহার করেছি। এখন এটা নিয়ে কোন সমস্যা হবে??

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. এটা ভুল। অফিস বরাবর একটা আবেদন লিখে নিয়ে যাবেন। আবেদনে উল্লেখ করবেন ভুল করে পিতার নামের আগে ডট দেওয়া হয়ে গেছে। আশা করি ছবি তোলার সময় কম্পিউটার অপারেটর ভুল সংশোধন করে দিবে।

      মুছুন
  2. আসসালামু আলাইকুম স্যার, আমি ২০০৮ সালে হাতের লেখা পাসপোর্ট দিয়ে দুবাই তে গিয়েছিলাম, সেখানে দুই বার পাসপোর্ট রিনিউ করেছি,আমার পাসপোর্ট MRP. এখন আমি আমার NID সংশোধন করে E Passport বানাতে চাচ্ছি। এখন আমি E passport বানাতে গেলে আমার পুরাতন পাসপোর্ট নাম্বার উল্লেখ থাকবে কি? দয়া করে জানা লে উপকার হইত।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আপনার কাছে থাকা সর্বশেষ MRP পাসপোর্ট এর তথ্য ই পাসপোর্ট আবেদন করার সময় উল্লেখ করবেন।

      মুছুন
  3. আসসালামু আলাইকুম! আমার MRP passport কে E-passport এ করতে চাচ্ছি। আমার MRP passport এ NID দিয়ে করেছিলাম। আমি E-passport এ আমার BIR Certificate নাম্বার দিয়ে করতে চাই। সেক্ষেত্রে কি করা যাবে না কোন সমস্যা হবে? BIR/ NID যেকোনো একটা দিলেই তো হবে। আমার নাম,পিতার নাম, মাতার নাম,ঠিকানা সব একই। অনুগ্রহ করে যদি প্রশ্নের উত্তর দিতেন খুবই উপকৃত হতাম।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. যদি আপনার বয়স ২০ বছরের কম হয় তাহলে জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন। অথবা এই মুহূর্তে আপনি দেশের বাইরে থাকেন কাজের জন্য তবে সেই দেশে অবস্থিত এম্বাসি থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করলে জন্মনিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন। অন্যথায় আপনাকে NID দিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ করতে হবে।

      মুছুন
  4. আসসালামু আলাইকুম, আমার MRP এর সাথে আমার আইডি কার্ডের সব তথ্য ঠিক আছে, কিন্তু Spouse Information এ স্ত্রীর নামের বানানের সাথে আমার স্ত্রী এর NID কার্ডের বানানের একটা অমিল আছে। তাহলে E passport এ আবেদনের সময় Spouse information এ স্ত্রীর নামের বানান কি MRP অনুসারে দিব নাকি আমার স্ত্রীর NID অনুযায়ী দিব? কাইন্ডলি জানালে উপকৃত হতাম।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. নতুন ই পাসপোর্ট করার সময় স্ত্রীর nid অনুযায়ী নামের বানান দিয়ে আগের mrp পাসপোর্টে থাকা ভুল সংশোধন করে নিতে পারবেন।

      মুছুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন